শাসককে স্পষ্ট কুফরী করতে দেখলে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব নাকি ওয়াজিব না
বর্তমান যুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস ও ইয়েমেনে সালাফী দাওয়াতের মুজাদ্দিদ ইমাম মুক্ববিল বিন হাদী আল-ওয়াদিঈ রাহিমাহুল্লাহকে প্রশ্ন করা হয়,
.
“প্রশ্ন: (শাসককে) স্পষ্ট কুফরী করতে দেখলে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ওয়াজিব নাকি ওয়াজিব না?”
উত্তর: “এক্ষেত্রে মুসলিমদের অবস্থা পর্যালোচনা করা ওয়াজিব:
◾তারা কি আদৌ এই স্পষ্ট কুফরীর মোকাবেলা করার সক্ষমতা রাখে? নাকি শুধু শুধুই নিজেদেরকে কুরবান করবে!!?
◾তাদের কি নিজেদের ধনাঢ্যতা আছে, নাকি তারা আবার ঐ আমেরিকা বা এই ধরনের দেশগুলোর প্রতি হাত পাতবে? যেসব রাষ্ট্র তাদেরকে পারস্পরিক হানাহানিতে লিপ্ত রাখবে, এরপর প্রথম ধর্মনিরপেক্ষ সরকারের পরিবর্তে অন্য আরেকজন ধর্মনিরপেক্ষ ব্যক্তিকে বসাবে, নয়তো ধর্মনিরপেক্ষ এর পরিবর্তে শীয়াকে বসাবে, হতে পারে মুসলিমের পরিবর্তে কোনো খ্রিস্টানকে বসালো!!!
এজন্য অবশ্যই নিজেদের স্বাবলম্বী হওয়া জরুরী।
◾এরপর দেখতে হবে, যুদ্ধের শক্তিসামর্থ ও প্রস্তুতি আছে কিনা? তবে (খেয়াল রাখতে হবে) শত্রুসেনার সমান হওয়া শর্ত নয়। কারণ আল্লাহ পবিত্র কুরআনে বলেনঃ
وَأَعِدُّوا لَهُم مَّا اسْتَطَعْتُم مِّن قُوَّةٍ وَمِن رِّبَاطِ الْخَيْلِ تُرْهِبُونَ بِهِ عَدُوَّ اللَّهِ وَعَدُوَّكُمْ
“আর তোমরা তাদের মুকাবিলার জন্য যথাসাধ্য প্রস্তুত রাখ শক্তি ও অশ্ব বাহিনী, তা দিয়ে তোমরা ভীত-সন্ত্রস্ত করবে আল্লাহর শক্রকে এবং তোমাদের শক্রকেও”। -(সূরা আনফাল: ৬০)
◾ তাদের যথেষ্ট ডাক্তার ও হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা আছে কিনা? নাকি আঘাতপ্রাপ্ত ব্যক্তির রক্ত পড়ে গিয়ে সে মারা যাবে?
◾ অনুরূপভাবে (দেখতে হবে) যুদ্ধে প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী মজুদ আছে কিনা?
(উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায়) মানুষ সাহাবায়ে কেরামের মতো ধৈর্য্য ধরতে মোটেও প্রস্তুত নয়। নিজ দেশ থেকে মদীনায় হিজরত করার সময় তারা নিজেদের দূর্বলতা, দেশ ত্যাগের কষ্ট মুসীবত, দারিদ্রতা ও রোগ-শোকের উপর যতটা ধৈর্য্য ধারণ করেছিলেন। মানুষকে এখন সাহাবায়ে কেরামের মতো ধৈর্য্য ধারণ করার ট্রেনিং নেওয়াটা খুবই প্রয়োজন।”(তুহফাতুল মুজীব ‘আলা আসয়িলাতিল হাযিরি ওয়াল গরীব, পৃষ্ঠা নং ১৭১)
.
অনুবাদক: ইয়াকুব আবুল কালাম।
No comments